![]()
'তারবিয়াহ' একটি আরবি শব্দ যার ভাষাগত অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি করা, জন্মানো, উন্নতি ইত্যাদি। প্রচলিত অর্থে, তারবিয়াহ' মানে হচ্ছে মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে উন্নত করা ও প্রশিক্ষণ দান । তাকওয়া, ইলম অর্জন, অন্যদের ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দান এগুলো সবই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তারবিয়াহ'র অন্তর্ভুক্ত তবুও কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মুসলিমদের মানসিকতা উন্নয়ন কিংবা 'তারবিয়াহ'র বিষয়টি হয়তো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে কিংবা সচেতনভাবে বাদ দেয়া হচ্ছে। এমন একটি ভুলে যাওয়া বিষয় হচ্ছে, কিভাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর অনুসারীদের মাঝে একটি বিজয়ী মন মানসিকতা রেখে গিয়েছিলেন, তাদের মাঝে তিনি এই বিজয়ী মানসিকতার লালন ও বৃদ্ধি শিখিয়েছেন। বর্তমান সময়ের মুসলিম উম্মাহর মাঝে বিজয়ী মানসিকতা কিংবা এর লালন, বৃদ্ধি করা এগুলো নেই, অনুপস্থিত।
● সারা দুনিয়াজুড়ে মুসলিমদের আজ দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা, নির্যাতন, নিপীড়নের এক অভিন্ন চিত্র সবখানে প্রতিফলিত হচ্ছে। এ কারণে এই কঠিন সময়ে এটা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয় যে, মুসলিমদের সেই বিজয়ী মন মানসিকতা আর নেই, বরং তাদেরকে গ্রাস করেছে একটি বিপরীত পরাজিত ক্ষমাপ্রার্থী মানসিকতা। আর এটা যুলুম নির্যাতনের একটি সহজাত ও অনিবার্য ফলাফল। যত বেশি আপনি যুলুম নির্যাতনের ভিকটিম হবেন, তত বেশি আপনার মাঝে তৈরি হবে ভিকটিম মানসিকতা বা পরাজিত মানসিকতা, ক্ষমাপ্রার্থী মনোভাব, কিছু হলেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন কিভাবে নিজেকে যুলুমের হাত থেকে রক্ষা করবেন, কুফফারদের থেকে নিজের পিঠ বাঁচাতে কি অজুহাত প্রদর্শন করবেন -এই মানসিকতা। এই পরাজিত অজুহাত প্রদর্শনকারী ক্ষমাপ্রার্থী মানসিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ হচ্ছে, নিজের অবস্থানের উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা, তা থেকে উত্তরণে অপারগতা প্রকাশ করা এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার প্রচেষ্টা । অতিরিক্ত রয়েছে হতাশা ও নিষ্কর্ম মনোভাব এর জন্মলাভ। |
Tuesday, August 7, 2018
পরাজিত মানসিকতার মুসলিম
Tuesday, April 10, 2018
কুরআন থেকে দূরে পলায়ন সহ 1টি প্রবন্ধ আপনার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে
![]() উত্তরঃ প্রতিটি বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর উচিত যথাযথভাবে গভীর মনোযোগ ও উপলব্ধি দিয়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা। এটি কোরআনের কোন এক কপি নিয়ে অথবা মুখস্ত আয়াত দিয়ে করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ এবং
উপরে উল্লেখিত কুরআন অধ্যয়ন বলতে তেলাওয়াত এবং আমল করা উভয়টিই বুঝানো হয়েছে। তেলাওয়াত হতে হবে গভীর ধ্যান ও বুঝার চেষ্টার মধ্য দিয়ে। কুরআন মানা এবং প্রাত্যহিক জীবনে আমল করা আল্লাহ্র প্রতি আন্তরিকতার একটি উপায়।কুরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কারও রয়েছে । হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ
|
Wednesday, April 4, 2018
আপনার সন্তান থেকে আপনি কী চান?
লেখকঃ আহমেদ রফিক
গাজিপুর থেকে ঢাকা ফিরছিলাম। বাসে উঠে বসলাম। কিছুক্ষন পর এক মুরব্বী উঠে আমার পাশেই বসলেন। আমি সালাম দিলাম। স্নিগ্ধ কোমল চেহারা। শ্বেত-শুভ্র লম্বা দাড়ি। দেখলেই শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করে। বয়সের ভারে বেশ ন্যুজ বোঝা যায়। যেন জোর করেই লুকোনোর চেষ্টা। কালো প্যান্ট সাদা শার্ট পরা। ইন করা। হাতে একটি এক্সিকিউটিভ ফাইল। কাগজ-পত্র ভরা।
কিছুক্ষন পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা আপনার নাম? নাম বললাম। জিজ্ঞেস করলেন কী করেন? সংক্ষেপে বললাম। জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় থাকেন। বললাম। জানতে চাইলেন বাসায় কে কে আছে। |
Saturday, March 31, 2018
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর ১৩৫+টি বই ফ্রী ডাউনলোড করে নিন
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (ইংরেজি: Muhammed Zafar Iqbal) (জন্মঃ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের পাশাপাশি তিনি উপন্যাস, ছোটগল্প, কিশোর সাহিত্য, ভৌতিক সাহিত্য এর উপর অসংখ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বই লিখেছেন। এছাড়া কলাম সংকলন ও টিভি নাট্যকার হিসেবেও তিনি পাঠকমহলে সমানভাবে সমাদৃত।'
১৩৫+টি বই ফ্রী ডাউনলোড করে নিন
https://drive.google.com/drive/folders/0B0PrHCokSMufb0NDQVlSbFhzbE0
Monday, March 12, 2018
কুরআন থেকে দূরে পলায়ন
প্রশ্নঃ প্রিয় শেইখ, যারা এক মাস অথবা এমনকি অনেক অনেক মাস যাবত কুরআন পাঠ/তেলাওয়াত করে না এবং এমন আচরণের জন্য কোন অজুহাতও নেই তাদের জন্য আপনার উপদেশ কি ? যাই হোক, আপনি দেখে থাকবেন তাদের কেউ কেউ এমন সব ম্যাগাজিন পড়ে এবং গভীরভাবে অনুসরণ করে যেগুলো তাদের জন্য কোন সুফল বয়ে আনে না। উত্তরঃ প্রতিটি বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর উচিত যথাযথভাবে গভীর মনোযোগ ও উপলব্ধি দিয়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা। এটি কোরআনের কোন এক কপি নিয়ে অথবা মুখস্ত আয়াত দিয়ে করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ এবং
|
Saturday, March 3, 2018
আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় আমল – পর্ব ১
Monday, January 29, 2018
যে কারণে বিতর্কিত মাওলানা সাদ
শতবছর আগে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতি কাজকে তরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রাহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.)-এর ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
তিনি তার এ সব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যগুলো ‘সা’আদ সাহেবের আসল রূপ’ নামে একটি ছোট্ট বই আকারে প্রকাশ করেছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভারত সফরকারী ৫ সদস্যের অন্যতম মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।
Saturday, January 27, 2018
রাফউল ইয়াদাঈনের সব হাদীস : পক্ষে বিপক্ষের সবার দলীলই তো দেখলেন, এবার সব হাদীস নিজেই পড়ে সিদ্ধান্ত নিন।
রাফউল ইয়াদাঈন অর্থ: দুই হাত উত্তোলন করা । এটি আল্লাহর নিকটে আত্মসমর্পণের অন্যতম নিদর্শন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) স্বলাতে চার জায়গায় দু’হাত উঠাতেন অর্থাৎ চার জায়গায় রাফউল ইয়াদাঈন করতেন ।
১. তাকবীরে তাহরীমার সময় ২. রুকুতে যাওয়ার সময়
৩. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় এবং
৪. তৃতীয় রাকায়াতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময় ।
কিন্তু সহীহ হাদীস থেকে অসংখ্য দলীল থাকা স্বত্বেও আমাদের দেশের হানাফী মাযহাবের ফতোয়া হচ্ছে: নামাযে প্রথম তাকবীর ছাড়া আর কখনো দুই হাত উঠাবে না । (হিদায়াত, ১ম খন্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
৩. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় এবং
৪. তৃতীয় রাকায়াতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময় ।
কিন্তু সহীহ হাদীস থেকে অসংখ্য দলীল থাকা স্বত্বেও আমাদের দেশের হানাফী মাযহাবের ফতোয়া হচ্ছে: নামাযে প্রথম তাকবীর ছাড়া আর কখনো দুই হাত উঠাবে না । (হিদায়াত, ১ম খন্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
Thursday, January 25, 2018
একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি
ভূমিকা
মহান রাব্বুল আলামীন এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করে তাকে সুশোভিত করেছেন, সৃষ্টি করেছেন অরণ্য, গাছপালা-তরুলতা, সাগর-নদী, আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য ও বিভিন্ন প্রকার প্রাণীকূল। আর এই সৃষ্ট জগতে মানুষকে পাঠিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত রূপে। স্রষ্টার এই সুন্দর সৃষ্টি পরিচালিত হচ্ছে সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতি মেনেই। মানুষ তার পরম সত্তাকে জানার জন্য সর্বদাই আকুল। এ দুর্নিবার জানার আগ্রহ মানুষকে এক নৈর্ব্যক্তিক প্রষ্টার ধারনায় পৌঁছে দেয়। এ নৈর্ব্যক্তিক মহা সত্তা বা স্রষ্টা নৈর্ব্যক্তিক থেকে মানুষের হৃদয়ের আবেদন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছ। তাই মানুষ যুগ যুগ ধরে নিজের অন্তরে সেই পরম সত্তাকে খুজে বের করে তার সাথে আত্মীক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছে। আর এ সত্তাকে জানতে ও চিনতে হলে তাকে অবশ্যই একজন পবিত্র আত্মার মানুষ হতে হবে। আর পবিত্র আত্মার অধিকারী হতে হলে তাকে অবশ্যই আদর্শিক ও চারিত্রিক গুণে গুণান্বিত হওয়া আবশ্যক। একজন মু'মিনকে দেখে অপর একজন বিধর্মী ঈমান গ্রহণ করে এবং তারই জীবনে তা বাস্তবায়নের কারণে মানুষ হয়ে উঠে আল্লাহ্ মুখী ও তাকওয়াবান। যা আমরা রাসূলুল্লাহ্ সা.-এর যুগে এবং তৎপরবর্র্তী যুগে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই। তাই তাকে অবশ্যই কতিপয় গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে যা দ্বারা মানুষ তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে দোযখের কঠিন আযাব থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।
|
Sunday, January 21, 2018
হাদিসের গল্পঃ ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী
![]()
বহুকাল পূর্বে একজন রাজা ছিলেন। সেই রাজার ছিল একজন যাদকুর। ঐ যাদুকর বৃদ্ধ হ'লে একদিন সে রাজাকে বলল,'আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। সুতরাং আমার নিকট একটি ছেলে পাঠান, যাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব'। বাদশাহ তার নিকট একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তাকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিতে লাগলেন। বালকটি যাদুকরের নিকট যে পথ দিয়ে যাতায়াত করত, সে পথে ছিল এক সন্ন্যাসীর আস্তানা। বালকটি তার নিকট বসল এবং তার কথা শুনে মুগ্ধ হ'ল। বালকটি যাদুকরের নিকট যাওয়ার সময় ঐ সন্ন্যাসীর নিকট বসে তাঁর কথা শুনত। ফলে যাদুকরের নিকট পৌছাতে বালকটির দেরী হ'ত বলে যাদুকর তাকে প্রহার করত। বালকটি সন্ন্যাসীর নিকট এ কথা জানালে তিনি বালককে শিখিয়ে দেন যে,তুমি যদি যাদুকর কে ভয় কর তাহ'লে বলবে, বাড়ীর লোকজন আমাকে পাঠাতে বিলম্ব করেছে এবং বাড়ীর লোকজনকে ভয় পেলে বলবে, যাদুকরই আমাকে ছুটি দিতে বিলম্ব করেছে।
|
Subscribe to:
Comments (Atom)





