Tuesday, April 10, 2018

কুরআন থেকে দূরে পলায়ন সহ 1টি প্রবন্ধ আপনার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে




উত্তরঃ প্রতিটি বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর উচিত যথাযথভাবে গভীর মনোযোগ ও উপলব্ধি দিয়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা। এটি কোরআনের কোন এক কপি নিয়ে অথবা মুখস্ত আয়াত দিয়ে করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ
 " এ এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াত সমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহন করে।"[সূরা সোয়াদ ৩৮:২৯] 
এবং
"যারা আল্লাহ্‌র কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারাই আশা করতে পারে তাদের এমন ব্যবসায়ের যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ্‌ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরও বেশি দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও গুণগ্রাহী।" [ সূরা ফাতির ৩৫:২৯-৩০]

উপরে উল্লেখিত কুরআন অধ্যয়ন বলতে তেলাওয়াত এবং আমল করা উভয়টিই বুঝানো হয়েছে। তেলাওয়াত হতে হবে গভীর ধ্যান ও বুঝার চেষ্টার মধ্য দিয়ে। কুরআন মানা এবং প্রাত্যহিক জীবনে আমল করা আল্লাহ্‌র প্রতি আন্তরিকতার একটি উপায়।কুরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য  বিশেষ পুরস্কারও রয়েছে । হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ
"কুরআনতেলাওয়াত করো। কারন কেয়ামতের দিনে তেলাওয়াত কারীর জন্য এটি সুপারিশ করবে/ মধ্যস্থতা করবে।" (সহিহ মুসলিম ৮০৪) 
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) আরো বলেনঃ "তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে কুরআন শিখে এবং শিক্ষা দেয়।" (সহিহ বুখারি ৯/৬৬)