Thursday, January 25, 2018

একজন ঈমানদার দা‘ঈর বর্জিত গুণাবলি



ভূমিকা

মহান রাব্বুল আলামীন এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করে তাকে সুশোভিত করেছেন, সৃষ্টি করেছেন অরণ্য, গাছপালা-তরুলতা, সাগর-নদী, আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য ও বিভিন্ন প্রকার প্রাণীকূল। আর এই সৃষ্ট জগতে মানুষকে পাঠিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত রূপে। স্রষ্টার এই সুন্দর সৃষ্টি পরিচালিত হচ্ছে সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতি মেনেই। মানুষ তার পরম সত্তাকে জানার জন্য সর্বদাই আকুল। এ দুর্নিবার জানার আগ্রহ মানুষকে এক নৈর্ব্যক্তিক প্রষ্টার ধারনায় পৌঁছে দেয়। এ নৈর্ব্যক্তিক মহা সত্তা বা স্রষ্টা নৈর্ব্যক্তিক থেকে মানুষের হৃদয়ের আবেদন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছ। তাই মানুষ যুগ যুগ ধরে নিজের অন্তরে সেই পরম সত্তাকে খুজে বের করে তার সাথে আত্মীক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছে। আর এ সত্তাকে জানতে ও চিনতে হলে তাকে অবশ্যই একজন পবিত্র আত্মার মানুষ হতে হবে। আর পবিত্র আত্মার অধিকারী হতে হলে তাকে অবশ্যই আদর্শিক ও চারিত্রিক গুণে গুণান্বিত হওয়া আবশ্যক। একজন মু'মিনকে দেখে অপর একজন বিধর্মী ঈমান গ্রহণ করে এবং তারই জীবনে তা বাস্তবায়নের কারণে মানুষ হয়ে উঠে আল্লাহ্ মুখী ও তাকওয়াবান। যা আমরা রাসূলুল্লাহ্ সা.-এর যুগে এবং তৎপরবর্র্তী যুগে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই। তাই তাকে অবশ্যই কতিপয় গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে যা দ্বারা মানুষ তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে দোযখের কঠিন আযাব থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।