সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ আলোচ্য গ্রন্থ 'আর রাহীকুল মাখতূম' শাইখ আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরি কর্তৃক রচিত। সৌদি আরবের সরকারী উদ্যোগে রাবেতা আলম আল ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৩৯৬ হিজরী সনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন-চরিত বিষয়ক গ্রন্থ রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সারা বিশ্ব থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী ১১৮২জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কার লাভের এক দুর্লভ গৌরব অর্জন করেন। এ গ্রন্থটি সর্বস্তরের মানুষের নিকট অত্যন্ত সমাদৃত হয়েছে। সকলেই অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন গ্রন্থটির। সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য তথ্য সম্বলিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী গ্রন্থ হিসেবে 'আর রাহীকুল মাখতূম' বিশ্বের বিখ্যাত উলামা ও গবেষকগণের যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বইটি আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা সহ পৃথিবীর অগণিত জীবন্ত ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
Wednesday, November 18, 2020
বইঃ আর রাহীকুল মাখতুম – ফ্রী ডাউনলোড
Tuesday, November 10, 2020
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ছোট আমল
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ছোট আমল যেগুলো আমরা চলাফেরার মাঝে পড়তে পারি । তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত !!
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
«سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর প্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”
বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫
মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১
(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত বাণীটি ১০ বার বলবে,
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” এটা তার জন্য এমন হবে যেন সে ইসমাঈলের সন্তানদের চারজনকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করল।”
বুখারী ৭/৬৭ নং ৬৪০৪
মুসলিম, তার শব্দে ৪/২০৭১ নং ২৬৯৩
Saturday, May 16, 2020
আল্লাহর জন্যে ভ্রাতৃত্ব – পর্ব ১
সমকালীন চৈতন্য জগতে, চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই, দৃষ্টিপাত করে লক্ষ্য করবেন, এবং বিমূঢ় হবেন যে, বোধ, চেতনা এবং চিন্তায় ব্যাপক পতন—উদ্দিষ্ট মর্মের তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বিভিন্ন শব্দের। এ গোত্রেরই একটি শব্দ হচ্ছে الأخوة في الله বা আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব।
الأخوة
في الله বা আল্লাহর জন্য
ভ্রাতৃত্ব সে
মজবুত দৃঢ়
বন্ধন, যা
প্রেমিক ও
প্রেমাস্পদের মাঝে
সুদৃঢ় বন্ধন অটুট
রাখে
; এ
প্রেমের বন্ধন অন্য
কিছু
নয়,
কেবল
প্রেমিক ও
প্রেমাস্পদের মাঝে
আল্লাহর নৈকট্য সঞ্জাত প্রেম। 'মোহাববাত' বা
প্রেম-ভালোবাসাকে, মুসলিম মনীষী ইমাম
নববী,
সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে—যা
প্রেমিকের 'মত',
তার
প্রতি ঝোঁক। ইবনে
হাজর
রহ.
এর
ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে—ঝোঁক
দ্বারা উদ্দেশ্য যা
সর্বতোভাবে ঐচ্ছিক—পিতা-মাতা-বা যাদের সাথে
সম্পর্ক-ভালোবাসা প্রাকৃতিক, এবং
যে
প্রেম-ভালোবাসা চাপিয়ে দেয়া—তা
নয়।
ভালোবাস হচ্ছে, যাকে
কল্যাণময় বলে
জ্ঞান করে,
বিশ্বাস করে,
তা
উদ্দেশ্য করা।[1]
সৎ
ভ্রাতৃত্ব মানুষের আদি
স্বভাবের গভীরে প্রোথিত, যা
পর্যবসিত হয়
নিজের উপর
অন্যকে প্রাধান্য দেয়ায়। আবু
হুরাইরা রা.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ
থেকে
তার,
ও
তার
মায়ের জন্য
মোমিনদের সাথে
ভালোবাসার সম্পর্কের দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন। রাসূল দোয়া করে
বলেছিলেন—হে
আল্লাহ ! আপনার মোমিন বান্দাদের মাঝে
এই
বান্দা ও
তার
মায়ের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন।
এবং
তাদের কাছেও মোমিনদের প্রিয় করে
তুলুন।[2] কুরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন—
الْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ
عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ.
অর্থ : ভ্রাতৃগণ সেদিন পরস্পর পরস্পরের শত্রু হবে—মুত্তাকীগণ ব্যতীত।[3] |
Thursday, May 14, 2020
খাদ্য অপচয়
২০০৫ সালের কথা। দীপালিদের বাসায় নিয়ম ছিল যে সে খাবে রাতের ভাত, আর দুপুরে খাবে তারভাই। এই নিয়মের পিছনে জিরো ফিগারের বাসনা না – ছিল তার বাবার চাল কেনারঅক্ষমতা। একদিন সন্ধ্যায় দীপালীর ভাই এমনই ক্ষুধার্ত ছিল যে সে তার বোনেররাতের ভাগটুকু খেয়ে নেয়। প্রায় ২৪ ঘন্টার অভুক্ত দীপালি যখন দেখে তারভাত তার আপন ভাই চুরি করেছে তখন অভিমানে তার কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। আরকোনদিন যেন বাবা-মার কাছে ভাত না চাইতে হয়, তাই সে কন্ঠে কাপড় জড়িয়েঝুলে পড়ে। জীবনের মত সে তার ভাগের ভাতটা ভাইকে দিয়ে যায়।
আমরা জানি আত্মহত্যা মহাপাপ। তবে আমরা এটা জানিনা যে আজ রাতে আমাদের হাঁড়িধোয়ার সময় যে ভাতগুলো ফেলে দেয়া হবে তাতে দীপালির ভাগ ছিল। যতই জনসংখ্যাবাড়ুক, এই দুনিয়াতে আল্লাহ যত মুখ সৃষ্টি করেছেন তাদের সবার খাবারেরভাগও তিনি রেখেছেন। যখন কেউ কারো মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় তখন মানুষঅনাহারে আত্মহত্যা করে। গরীব মানুষের মুখের গ্রাস শুধু মাল্টি ন্যাশনালকোম্পানিগুলো একা কেড়ে নেয়না, আমরাও নেই।
Monday, May 11, 2020
বাতিঘর
ঘটনার
আকস্মিকতায় থতমত
খেয়ে
যায়
ফারজানা। সে
লোকটাকে চেনেনা,
জানেনা,
কোন
সালাম
নেই,
সম্ভাষন নেই,
হুট
করে
এই
আচমকা
অনুরোধ!
তারিকের দিকে
জামিলের চোরা
চাহনি,
ফিসফিস
কথা
বলার
ভঙ্গি
আর
এই
অদ্ভুত
প্রস্তাব- সব
মিলিয়ে কিম্ভুত এই
পরিস্থিতিতে হঠাৎ
হাসি
পেয়ে
যায়
ওর।
হাসি
চাপার
চেষ্টা
করতে
করতে
সে
স্মিত
হেসে
বলে,
'আসসালামু আলাইকুম'।
এবার
নিজের
অভদ্র
আচরন
স্মরন
করে
জামিল
নিজেই
একটু
অপ্রস্তুত হয়ে
পড়ে,
লজ্জা
লজ্জা
চেহারায় টেবিলের দিকে
তাকিয়ে বলে,
'ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ'।
'আমার নাম
ফারজানা'।
'জ্বি, তারিক
ভাই
এইমাত্র বললেন।
আমি
জামিল'।
'আপনার মত
আমিও
আসলে
এখন
বিয়ে
করতে
উৎসাহী
নই।
কিন্তু
আমি
যদি
এই
মূহূর্তে উঠে
চলে
যাই
তাহলে
বিয়ে
করবনা
বললে
ভাইয়া
কিছুতেই কনভিন্সড হবেনা।
সুতরাং,
আমাদের
মনে
হয়
কিছুক্ষণ অন্তত
কথা
বলার
অভিনয়
করা
উচিত'।
Tuesday, April 21, 2020
সালাতে (নামাযে) রাফয়িল ইয়াদাইন (দুইহাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো) এবং সশব্দে (উচ্চস্বরে) আমীন বলা সংক্রান্ত
সালাত (নামাজ) হচ্ছে মুসলমান জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। আর এ ইবাদত ঐভাবেই করতে হবে যেভাবে নবী (সাঃ) করে দেখিয়ে গেছেন। এজন্য নবী (সাঃ) বলেছেন- “তোমরা সালাত (নামাজ)পড়, যেভাবে আমাকে পড়তে দেখ।” (বুখারী ও মুসলিম)
আমাদের বাংলাভাষী মুসলমান সমাজ না জেনেই মাযহাবী দোহাই দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সহীহ সুন্নাত পরিত্যাগ করি, যা অত্যান্ত অবাঞ্চনীয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ মুসলমান বলে থাকেন ‘রাফয়িল ইয়াদাইন’ হানাফী মাজহাবে নেই। শাফী এবং হাম্বলী মাজহাবের।আমাদের দেশের মুসলিম সমাজের আলেমগণ ও সাধারণ মুসুল্লীগণ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতিত উভয়হাত উত্তোলন করাকে বলে থাকেন উল্টা তাকবীর, আসলে তাকবীর কিভাবে উল্টা হয় আমার বোধগম্য নয়। আপনারা একটু চিন্তা করুন, যদি তাকবীর উল্টা হয় যেমন- আল্লাহু আকবর (আল্লাহ মহান বা আল্লাহ বড়)এর উল্টা কি হবে বা এর ভাবার্থই কি হবে ভেবে দেখুন। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদেরকে এথেকে ক্ষমা করুন। যাতে আমরা উল্টা তাকবীর না বলি বা না দেই। এখানে সঠিক কথা হচ্ছে আমরা যখন সালাতে দাঁড়াই এবং প্রথম তাকবীর ব্যতিত অন্য সব তাকবীরের সময় (হাদীসে বর্ণিত স্থানে)উভয়হাত উত্তোলন করাকে ‘রাফয়িল’ (উঠানো বা উত্তোলন) ‘ইয়াদাইন’ (হস্তদ্বয় বা উভয়হাত), বলুন এটাকে কিভাবে উল্টা তাকবীর বলে। এব্যাপারে কিছুলোক এও বলে যে, ঐ সময় (ইসলামের প্রথমযুগে) লোকেরা নাকি বগলের নিচে মূর্তি নিয়ে সালাত পড়তো, এজন্য উভয়হাত উঠাতো। নাউজুবিল্লাহ- এটা সাহাবীদের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।
Sunday, February 16, 2020
দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন
দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন
২. কর্মক্ষেত্রেই যদি আপনার সবটুকু কর্মক্ষমতা নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৩. আপনার উৎফুল্ল আচরণ হতে পারে আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর জন্য খুব দামি একটি উপহার। ৪. কাউকে একইসাথে ভালোবাসা এবং ঘৃণা করা আপনার জন্য অসম্ভব নয়। ৫. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ৬. দাম্পত্য জীবনে তা-ই নিয়ম যা দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতে ঘটে। ৭. সাময়িক ঝগড়া বিবাদের কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় না। মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ আর যন্ত্রণাই দাম্পত্য জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়। ৮. দাম্পত্য সম্পর্ক, "কী পেলাম?" –এর হিসেবে মেলানোর জন্য নয়। বরং সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে "কী দিতে পেরেছি," তা-ই দাম্পত্য সম্পর্কের মূলকথা। ৯. "জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী হিসেবে আমি সর্বোত্তম"-এমনটি মনে হওয়া অতি আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ। এমনটি মনে হলে নিজেকে যাচাই করুন। ১০. সংসারের ক্রমাগত আর্থিক সচ্ছলতা অর্থ এই নয় যে, দাম্পত্য জীবনও সুখের মধ্য দিয়ে কাটছে। ১১. যদি বিশ্বাস ভেঙ্গে গিয়ে থাকে, তাহলে সেই বিশ্বাস জোড়া দেওয়ার সময় এখনও পার হয়ে যায়নি। এজন্য যেকোনো সময়ই উপযুক্ত সময়। |
Subscribe to:
Comments (Atom)

