ঘটনার
আকস্মিকতায় থতমত
খেয়ে
যায়
ফারজানা। সে
লোকটাকে চেনেনা,
জানেনা,
কোন
সালাম
নেই,
সম্ভাষন নেই,
হুট
করে
এই
আচমকা
অনুরোধ!
তারিকের দিকে
জামিলের চোরা
চাহনি,
ফিসফিস
কথা
বলার
ভঙ্গি
আর
এই
অদ্ভুত
প্রস্তাব- সব
মিলিয়ে কিম্ভুত এই
পরিস্থিতিতে হঠাৎ
হাসি
পেয়ে
যায়
ওর।
হাসি
চাপার
চেষ্টা
করতে
করতে
সে
স্মিত
হেসে
বলে,
'আসসালামু আলাইকুম'।
এবার
নিজের
অভদ্র
আচরন
স্মরন
করে
জামিল
নিজেই
একটু
অপ্রস্তুত হয়ে
পড়ে,
লজ্জা
লজ্জা
চেহারায় টেবিলের দিকে
তাকিয়ে বলে,
'ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ'।
'আমার নাম
ফারজানা'।
'জ্বি, তারিক
ভাই
এইমাত্র বললেন।
আমি
জামিল'।
'আপনার মত
আমিও
আসলে
এখন
বিয়ে
করতে
উৎসাহী
নই।
কিন্তু
আমি
যদি
এই
মূহূর্তে উঠে
চলে
যাই
তাহলে
বিয়ে
করবনা
বললে
ভাইয়া
কিছুতেই কনভিন্সড হবেনা।
সুতরাং,
আমাদের
মনে
হয়
কিছুক্ষণ অন্তত
কথা
বলার
অভিনয়
করা
উচিত'।
জামিল
বুঝতে
পারল
কথায়
যুক্তি
আছে,
কিন্তু
সে
কি
বলবে?
ওর
তো
এটুকুই
শুধু
বলার
ছিল!
ফারজানাই এগিয়ে
এলো,
'আচ্ছা,
আপনি
বিয়ে
করতে
না
চাইলে
দেখা
করতে
চাইলেন
কেন?
আপনি
তো
মেয়ে
না
যে
কেউ
আপনাকে
জোর
করে
বাধ্য
করতে
পারবে!'
জামিল
ওর
দিকে
তাকালে
দেখতে
পেত
ওর
চোখের
তারায়
কৌতুক,
কিন্তু
টেবিলের দিকে
তাকিয়ে থাকায়
সে
ফারজানার কথায়
দুষ্টুমির ভাবটা
ধরতে
পারলনা। খুব
অপরাধী,
মাটির
সাথে
মিশে
যেতে
পারলে
বাঁচে
এমন
চেহারা
করে
আমতা
আমতা
করে
বলতে
লাগল,
'আসলে
আমার
বাবামা
ভাইবোন
কেউ
নেই।
চাচা
চাচীর
কাছে
মানুষ।
এখন
শহরে
থাকি
বলে
তাঁদের
সাথেও
তেমন
যোগাযোগ হয়না।
একা
থাকি
বলে
তাঁদের
চিন্তার অন্ত
নেই।
চাচা
তাঁর
এক
বন্ধুকে বললেন
আমার
জন্য
মেয়ে
দেখতে।
আমার
নিজের
কোন
কুলকিনারা নেই,
সাধারন
একটা
পেটেভাতে চাকরী
করি,
ছোট্ট
একটা
দু'কামরার ঘরে ভাড়া
থাকি-
এই
জীবনে
কাউকে
জড়িয়ে কষ্টে
ফেলে
লাভ
আছে?
কিন্তু
চাচা
চাচী
কিছুতেই বুঝতে
চান
না।
চাচার
এক
বন্ধু
আপনার
ভাইকে
চেনেন।
ওঁরা
আমাকে
এমনভাবে ধরলেন
যে
মেয়ে
না
দেখে
কোন
সিদ্ধান্তই তারা
শুনবেন
না।
তাই
আপনাকে
কষ্ট
দিতে
হোল।
আপনাকে
এখানে
আসতে
বাধ্য
করা
হয়ে
থাকলে
সেজন্য
আমি
অত্যন্ত দুঃখিত। প্লীজ
আমাকে
মাফ
করে
দেবেন'।
জামিলের হাবভাবে এবার
ফারজানা কিছুতেই হাসি
চেপে
রাখতে
পারলনা,
খিক
করে
একটু
হাসি
দিয়েই
মুখে
হাত
চেপে
ধরল।
এবার
জামিল
থতমত
খেয়ে
জিজ্ঞেস করে,
'আমি
কি
এমন
কিছু
বলেছি
যা
আপনার
অস্বাভাবিক মনে
হয়েছে?' ফারজানা হাসি সংযত
করার
চেষ্টা
করে
বলে,
'নাহ,
তবে
আপনার
চেহারায় কেমন
যেন
একটা
চোর
চোর
মার্কা
দুঃখী
দুঃখী
ভাব
আছে,
হি
হি…'
'চোর চোর?',
কনফিউজড হয়ে
যায়
জামিল।
'জ্বি, আদিব,
আমার
ভাইয়ের ছেলেটা
বিস্কিট চুরি
করতে
গিয়ে
ধরা
পড়ে
গেলে
যেমন
চেহারা
বানায়
আপনার
চেহারাটা ঠিক
তেমন
লাগছে,
হি
হি
হি…'
এবার
জামিলও
হেসে
ফেলে।
'আচ্ছা, আপনি
কি
নিয়মিত পাঁচ
ওয়াক্ত নামায
পড়েন?'
অপ্রত্যাশিত প্রসঙ্গ পরিবর্তনে আবার
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে
যায়
জামিল,
শুধু
উত্তর
দিতে
পারে,
'জ্বি'।
'আপনি কি
লেখাপড়া করতে
পছন্দ
করেন?
যেমন
কুর'আন হাদিস পড়া,
গল্পের
বই
পড়া,
বিজ্ঞান নিয়ে
পড়াশোনা ইত্যাদি?'
'জ্বি, নিয়মিত পড়ি'।
'আপনি কি
সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেন?'
'জ্বি', কথাবার্তা যে
কোনদিকে যাচ্ছে
কিছুই
ঠাহর
করতে
পারেনা
জামিল।
'আপনি কি
বিশ্বাস করেন
যে
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে
কোন
বিশেষ
উদ্দেশ্য নিয়ে
পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং
তিনিই
আপনাকে
সেই
উদ্দেশ্যের কাছে
পৌঁছে
দেবেন?'
'জ্বি'।
'তাহলে আপনার
কি
মনে
হয়
আপনার
কথায়
এই
বিশ্বাস প্রতিফলিত হয়?
নাকি
আপনার
মন
বিশ্বাসের কথা
বললেও
মুখ
অবিশ্বাসের সাক্ষ্য দেয়?'
বাক্যালাপ এখানে
এসে
ঠেকবে
স্বপ্নেও কল্পনা
করেনি
জামিল।
কিন্তু
এই
অপরিচিত মেয়েটি তাকে
এমন
এক
রূঢ়
সত্যের
সম্মুখীন করে
দিয়েছে যা
সে
কখনো
ভেবেও
দেখেনি। সময়
তাকে
এমন
এক
ব্যাক্তিতে রূপান্তরিত করে
দিয়েছে যে
বিশ্বাসের কথা
বলে
অথচ
নিরাশায় ভোগে,
যে
আত্মীয়তার জন্য
হাহাকার করে
অথচ
আত্মীয়তার বন্ধনের মূল্যায়ন করতে
পারেনা,
যে
আল্লাহর ওপর
নির্ভরতার কথা
বলে
অথচ
কারো
দায়িত্ব নেয়ার
জন্য
নিজেকে
নির্ভরযোগ্য মনে
করেনা।
হা
করে
তাকিয়ে থাকা
ছাড়া
আর
কোন
জবাব
দিতে
পারেনা
সে।
ওদিকে
তারিক
উঠে
দাঁড়ায়, ফারজানাও সালাম
দিয়ে
ভাইকে
অনুসরন
করে।
তারিক
আর
ফারজানাকে বিদায়
দিয়ে
আবার
রেস্টুরেন্টের বে-আরাম চেয়ারটাতে বসে
ভাবতে
থাকে
জামিল,
মেয়েটা তাকে
কি
বলে
গেল?
দু'ঘন্টা পর, ফারজানার
বাসায়ঃ
'অ্যাই বলনা
ছেলেটা
দেখতে
কেমন
ছিল?'
'সত্যি ভাবী,
আমি
খেয়াল
করিনি।
খুব
বেশি
খারাপ
হলে
হয়ত
খেয়াল
করতাম'।
'তাহলে আমার
যে
ননদিনি
এতদিন
বিয়ে
করতে
রাজী
হয়নি
সে
কি
দেখে
একঘণ্টায় বিয়ে
করতে
রাজী
হয়ে
গেল?'
'ওহ, তুমি
এটা
জানতে
চাও?
বললেই
তো
হত!',
চোখ
টিপে
হেসে
ফেলে
ফারজানা।
'জ্বি ফারজু
বিবি,
এটাই
জানতে
চাই',
গালে
হাত
দিয়ে
কৌতুহল
প্রকাশ
করেন
ভাবী।
'শোন তাহলে-
লোকটাকে দেখে
মনে
হোল
আমি
এই
লোকটার
জীবনে
কিছু
একটা
অবদান
রাখতে
পারব,
তার
বিশ্বাসকে পূর্ণতা দান
করতে
সাহায্য করতে
পারব,
তার
সাথী
হতে
পারব।
অধিকাংশ পুরুষ
বিয়ে
করার
সময়
কাজের
মেয়ে
খোঁজে।
ভাবী,
আমার
ঘরের
কাজ
আমি
করব,
তাতে
আপত্তির কি
আছে?
কিন্তু
সেটাই
যদি
বিয়ের
একমাত্র উদ্দেশ্য হয়
সেটা
আমি
মেনে
নিতে
পারিনা'।
'তা তো
ঠিক
আছে
ফারজু
বিবি।
কিন্তু
তোমার
ভাইয়া
বলল
ছেলেটাকে দেখে
বিয়ের
ব্যাপারে আগ্রহী
মনে
হয়নি,
আমি
ভাবছি
তুমি
তার
জীবনে
কতখানি
গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রাখতে
পারবে
তা
সে
মূল্যায়ন করে
সিদ্ধান্ত নিতে
পারবে
কিনা',
চিন্তিত মনে
হয়
ভাবীকে।
'ভাবী, লোকটাকে দেখে
মনে
হোল
খুব
সরল
আর
লাজুক
প্রকৃতির কিন্তু
বোকা
না।
উনি
নানা
কারণে
জীবনের
প্রতি
আশাহত
কিন্ত
এই
আশা
জাগিয়ে তোলার
মত
বিশ্বাস ওনার
মনের
কোণে
কোথাও
অবশিষ্ট আছে'।
'তাহলে আশা
করি
তুমি
তার
সেই
ভঙ্গুর
আশালতায় কোথাও
দোলা
দিতে
পেরেছ',
ফারজানার মাথায়
হাত
বুলিয়ে দিতে
দিতে
জানালা
দিয়ে
বাইরে
তাকান
ভাবী।
বাপমা
মরা
এই
মেয়েটাকে নিজের
মেয়ের
মত
করেই
বড়
করেছে
তিনি।
কোনদিন
ওর
বিশ্বাসে এতটুকু
চির
ধরতে
দেননি।
এই
আশার
উজ্জ্বল প্রদীপ,
এই
বাতিঘর
যদি
সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া
কোন
নাবিককে পথ
দেখাতে
পারে,
পারে
আরেকটি
ঘরকে
আলোকিত
করতে,
তবে
এর
চেয়ে
বেশি
আর
কি
সাফল্য
আশা
করতে
পারেন
তিনি?
তিনদিন
পর, নদীর
ধারেঃ
'মেয়েটা যে
তোর
জন্য
perfect তা
কি
এখন
তোর
মাথায়
ঢুকেছে
না
আরো
সময়
লাগবে?',
রোদের
জন্য
ভ্রূ
কুঁচকে
জামিলের দিকে
তাকানোর চেষ্টা
করে
কামাল।
জামিলের মুখটা
ভারী
উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, ওটা
কি
রোদের
আলো
না
আশার?
'হিসেব করছি
রে
দোস্ত।
কথায়
কথায়
ফ্যাচ
ফ্যাচ
করে
কাঁদবে,
বাচ্চাদের মত
আবদার
করে
জীবন
অতিষ্ঠ
করে
তুলবে
এমন
বৌয়ের
ভীতি
থেকেই
বিয়ে
করতে
অনীহা
বোধ
করতাম।
কিন্তু
এই
মেয়েটা প্র্যাক্টিকাল, সেন্সিবল, স্মার্ট, বুদ্ধিমতি এবং
ঠিক
আমার
মত
পরিস্থিতিতে বড়
হয়েও
ওর
বিশ্বাসটা অত্যন্ত মজবুত।
আমার
জীবনের
এক
বিরাট
সত্য
সে
আমাকে
কি
অবলীলায় বুঝিয়ে দিল
মনে
একটুও
কষ্ট
না
দিয়ে!
এই
সাহচর্য আমার
প্রয়োজন, ম্যাগ্নিফায়িং গ্লাস
দিয়ে
দুঃখগুলোকে দেখা
বন্ধ
করার
জন্য
ওর
হাসির
জোয়ার
আমার
জীবনে
দরকার,
সবচেয়ে বড়
কথা
ওর
বিশ্বাসের শক্ত
খুঁটিটা হতে
পারে
আমার
জীবনের
সে
অবলম্বন যা
আমি
এতদিন
খুঁজে
খুঁজে
হয়রান
হচ্ছি'।
'তাহলে তুই
দেরি
করছিস
কিসের
জন্য?'
'মেয়েটা যে
বলল
সে
বিয়ে
করতে
আগ্রহী
না!'
'তুই জিজ্ঞেস করেছিলি, কেন?'
'নাহ'।
'গাধা কোথাকার! জিজ্ঞেস করবিনা?',
ঈষৎ
বিরক্ত
হয়
কামাল,
পরক্ষণেই আবার
আশাবাদী হয়ে
ওঠে,
'যাক,
সে
বুদ্ধিমতি মেয়ে,
ঠিকই
বুঝতে
পারবে
তোর
জীবনে
সে
ফ্রেন্ড, গাইড
অ্যান্ড ফিলোসফার হয়ে
বিরাজ
করতে
পারবে।
একজন
বুদ্ধিমতি মেয়ের
জন্য
এটাই
বড়
প্রাপ্তি'।
'কিন্তু ওর
আমাকে
পছন্দ
হোল
কি'না কিভাবে জানব?'
'ওরে দোস্ত,
ওর
পরিবারের সাথে
কথা
বল,
নাহলে
জানবি
কি
করে?'
'ওঁরা যদি
না
করে
দেয়?'
'হ্যাঁও তো
বলতে
পারে।
তুই
আগেই
নিরাশ
হলে
মেয়েটা তোকে
শেখালটা কি?'
মাথা
নাড়ে
জামিল,
আজই
কথা
বলতে
হবে।
'তা মেয়েটা দেখতে
কেমন
রে?'
'খেয়াল করিনি
তো!',
নিজেই
অবাক
হয়
জামিল,
'কিন্তু
খুব
বেশি
খারাপ
না
মনে
হয়,
তাহলে
হয়ত
খেয়াল
করতাম'।
খুশি
হয়
কামাল,
'যারা
মানুষের অন্তর
দেখে
পছন্দ
করে
তারাই
মেয়ে
দেখে
এসে
বলতে
পারে
চেহারা
খেয়াল
করেনি।
এই
বিয়ে
হলে
তুই
ঠকবি
না
দোস্ত'।
উঠে
দাঁড়ায় দু'জনে, আনন্দের আতিশয্যে হঠাৎ
স্লোগান ছাড়ে
কামাল,
'জামিল
তুই
এগিয়ে
চল,
আমরা
আছি
তোর
সাথে'।
হো
হো
করে
হেসে
ফেলে
দু'জনে।
ছয়মাস
পরঃ
'আজকে তোমার
নতুন
চাকরী,
এত
সুন্দর
জামাকাপড় পরেছ
অথচ
চুলটা
আঁচড়াওনি। একটু
গেলাম
রান্নাঘরে আর
ব্যাস,
তোমার
ফাঁকিঝুঁকি শুরু!
তোমাকে
নিয়ে
আমি
কি
করি
বলত?',
ব্যাস্তসমস্ত হয়ে
পাশের
রুম
থেকে
চিরুনী
হাতে
দৌড়ে
আসে
ফারজানা।
টেবিলে
ঠান্ডা
হতে
দিয়ে
যাওয়া
খাবারগুলো টিফিন
ক্যারিয়ারে ভরতে
ভরতে
জামিল
বলে,
'আমি
চুল
আঁচড়ালে সকাবেলা আমার
মাথায়
তোমার
হাতের
স্পর্শ
নিয়ে
বেরোব
কি
করে
বলত?
তুমি
সকালে
হাত
দিয়ে
ছুঁয়ে
দিলে
আমার
সারাদিন মাথা
ঠান্ডা
থাকে,
একদম
যেন
তিব্বত
কদুর
তেলের
বিজ্ঞাপনের মত!'
'হি হি
হি',
ওকে
হাসতে
দেখে
জামিলের হাসিটাও ঠোঁটের
একপাশ
থেকে
পুরো
মুখে
ছড়িয়ে পড়ে।
জামিলকে শেষপর্যন্ত হাসতে
শেখাতে
পেরেছে
ফারজানা, ওর
দুষ্টুমিগুলো এখন
সে
কিছু
কিছু
বোঝে,
নিজেও
দুষ্টুমি করতে
শুরু
করেছে
দেখে
বেশ
উৎফুল্ল হয়
সে।
'যাবার পথে
চাচা
চাচীকে
ফোন
করে
জানিয়ো নতুন
চাকরিতে যাচ্ছ'।
'ওঁরা জানেন
তো'।
'তাতে কি
হয়েছে?
ফোন
করে
জানাও,
খুশি
হবেন।
আর
বিকালে
ফিরলে
চাচীর
জন্য
শাড়ি
কিনব
যেন
আগামী
বৃহস্পতিবার নিয়ে
যেতে
পারি।
আগামী
মাসে
বেতন
পেলে
চাচাকে
পাঞ্জাবী কিনে
দেব'।
'আর তুমি
কি
কিনবে?'
'বাহ, তোমার
মতন
এমন
একটা
চমৎকার
গিফট
থাকতে
আমার
আর
কি
লাগবে?'
মনে
মনে
একই
কথা
ভাবে
জামিল,
কিন্তু
ওর
মত
সাবলীলভাবে বলতে
পারেনা। বেহেস্তের টুকরোর
মত
বৌটার
দিকে
অপলক
তাকিয়ে থাকে।
'তুমি কি
চাও
তোমার
নতুন
অফিসে
প্রথমদিন লেট
হোক?'
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে
জুতো
পায়ে
দিতে
দিতে
আবার
ফারজানার দিকে
তাকায়
জামিল।
'যাআআআও', বলে
হাতে
টিফিন
ক্যারিয়ারটা হাতে
গুঁজে
দিয়ে
দরজা
খুলে
ওকে
প্রায়
ঠেলে
বের
করে
দেয়
ফারজানা।
শেষ
একবার
পেছন
ফিরে
তাকালে
ফারজানা মিষ্টি
হেসে
বলে,
'আসসালামু আলাইকুম'।
এই
স্বর্গীয় সম্ভাষন কানে
নিয়েই
প্রতিদিন পৃথিবীর বন্ধুর
পথে
যাত্রা
শুরু
হয়
জামিলের, সে
স্মিত
হেসে
জবাব
দেয়,
'ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ'।
এখনো
রিক্সা
পেতে
দেরী
হয়,
বাসে
ভিড়
ঠেলে
উঠতে
কষ্ট
হয়,
অফিসে
ঝামেলা
হয়,
দোকানে
দরদাম
নিয়ে
মন
কষাকষি
হয়,
দু'কামরার ঘরটাতে চাপাচাপি হয়,
কোন
কোনদিন
ভাল
তরকারীও থাকেনা। তবু
কেন
যেন
পৃথিবীটাকে আর
আগের
মত
জটিল
মনে
হয়না।
দিনের
শেষে
ওর
জীবনে
আছে
এমন
এক
সাথী
যে
ওর
সুখদুঃখ সব
সমানভাবে ভাগাভাগি করে
নেয়,
যে
ওর
কষ্টগুলোকে ফুঁ
দিয়ে
উড়িয়ে দিতে
পারে,
যে
ওর
বিশ্বাসকে এক
আলোর
তৈরী
মিনারের মত
উচ্চকিত করে
তোলে।
হাসি
পায়
এই
ভেবে
যে
এই
দুই
শ্রেষ্ঠ বন্ধুর
প্রথম
বাক্যালাপ ছিল, 'আপনি কিন্তু কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেননা'!
No comments:
Post a Comment